এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যার তান্ডবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোট ভেওলাস্থ মাতামুহুরী নদীর লোপ কাটিং এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ওইসময় পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে নদীর পানির প্রবল ধাক্কায় ওই এলাকার পাহাড়ে অবস্থিত অন্তত ১১টি বসতঘর মুর্হতে নদীতে তলিয়ে গেছে। বর্তমান ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবার খোলা আকাশের নীচে পলিথিনের টাবু টাঙ্গিয়ে তাতে আশ্রয় নিয়েছে। বসতঘর নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ১১টি পরিবারের প্রায় ২২লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ১১টি পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।
উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন বলেন, গত সপ্তাহে ঘটে যাওয়া টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারনে মাতামুহুরী নদীতে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়। উপজেলার অপরাপর ইউনিয়নের মতো তাঁর ইউনিয়নেও বন্যার তান্ডবে জনসাধারণ ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন। তিনি বলেন, মাতামুহুরী নদীর উপকন্ঠে বিগত সময়ে অপরিকল্পিতভাবে খনন করা লোপ কাটিং এলাকাটি প্রতিবছর বর্ষাকালে অধিক ঝুঁকিকপুর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থার কারনে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৪নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় এক হাজার পরিবার লোপ কাটিংয়ের কবলে পড়ে ভিটেবাড়ি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। বিষয়টি ইতোমধ্যে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরো বলেন, সম্প্রতি সময়ের বন্যার তান্ডবে মাতামুহুরী নদীর প্রবেশমুখ লোপ কাটিং এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শুরু হয়। এ অবস্থায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারনে মাতামুহুরী নদীতে বিপদসীমা অতিক্রম করে পাহাড়ি ঢলের পানি নামে। ওইসময় পানির প্রচন্ড ধাক্কায় লোপ কাটিং এলাকার পাহাড়ে অবস্থিত ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের অন্তত ১১টি বসতঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে এসব ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার খোলা আকাশের নীচে পলিথিনের টাবু টাঙ্গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, পাহাড়ে ধসে নদীতে বিলীন হওয়া ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মন্ডলপাড়া গ্রামের জমির উদ্দিন, দিলোয়ারা বেগম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ইউছুপ, সামশুল আলম, ৩নম্বর ওয়ার্ডের আক্তার হোসেন, দলিলুর রহমান, ৪নম্বর ওয়ার্ডের শাহজান, বাদশা মিয়া, হাফেজ আলী হোসেন ও হাজেরা খাতুনসহ ১১টি পরিবারের তালিকা গত ৯ জুলাই চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, লিখিত আবেদনটিতে ১১টি পরিবারের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে প্রায় ২২লাখ টাকা।
পাঠকের মতামত: